পদার্থ বিজ্ঞানে এ বছর যৌথভাবে নোবেল জিতে নিয়েছেন তিন জোতির্বিজ্ঞানী 1

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উবাভ নিউজ

ছায়াপথ (গ্যালাক্সি) এবং কৃষ্ণগহবর (ব্ল্যাকহোল) গবেষণায় ভূমিকা রাখার জন্য এ বছরের নোবেল জিতে নেন তিন বিজ্ঞানী।আজ মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী হিসেবে তিনজনের নাম ঘোষণা করে। তাঁরা হলেন, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রজার পেনরোজ, জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল ফিজিকসের রেইনহার্ড গেনজেল ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দ্রে গেজ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায় নোবেল কমিটি। এক টুইটবার্তায়ও ছবিসহ এ তিনজনের নাম প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে নোবেল কমিটি জানায়, ‘কৃষ্ণগহ্বর আপেক্ষিকতা তত্ত্বের একটি শক্তিশালী অনুমান’ শীর্ষক আবিষ্কারের জন্য রজার পেনরোজকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি নোবেল পুরস্কারের অর্ধেক পাবেন। পুরস্কারে মোট মূল্যমান ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার ( প্রায় ১১ লাখ ২৩ হাজার ডলার)। পুরস্কারের বাকি অর্ধেক পাবেন রেইনহার্ড গেনজেল ও আন্দ্রে গেজ। আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্রে বড় ধরনের একটি কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব আবিষ্কারের কারণে তাঁদের এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

মহাবিশ্বের সবচেয়ে চমকপ্রদ ধারণা কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য এই তিন বিজ্ঞানীকে এ বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলো। তিনজনই এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। রজার পেনরোজ তাঁর গবেষণার মধ্য দিয়ে দেখিয়েছেন, সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বই কৃষ্ণগহ্বরের জন্ম-প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেয়। আর রেইনহার্ড গেনজেল ও আন্দ্রে গেজ আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্রে এমন এক অদৃশ্য ও ভীষণ ভারী বস্তুর অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন, যা এর আওতাধীন তারকারাজির গতিপথকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই অদৃশ্য কিন্তু ভীষণ ভারী বস্তুটি আদতে শক্তিশালী কোনো কৃষ্ণগহ্বর বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

উবাভ নিউজ ডেস্ক/জামান/ রয়টার/

Leave a Reply

Your email address will not be published.

19 − 13 =