গত কয়েক দিন ধরে বাজারে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ধরে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যান্য সবজির দামও। এতে দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের বাজার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে আলুর দাম তিন পর্যায়ে নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কেজিপ্রতি খুচরা পর্যায়ে ৩০, পাইকারিতে ২৫ ও হিমাগার থেকে ২৩ টাকা। এই দামে আলু বিক্রি না করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশের সব জেলা প্রশাসককে এই ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়েছে।
তারপরও বাজারে আলুর দামে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। এমনকি আজ বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা আলু বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, কৃষকেরা এ বছর ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি ধরে আলু বিক্রি করেছে। কয়েক হাত ঘুরে হিমাগারে রাখার খরচসহ হিসাব কষলে তা কোনোভাবেই ২০ টাকার বেশি হয় না। তারপরেও হিমাগার থেকে ২৩ টাকা কেজি ধরে আলু বিক্রি করতে বলা হয়েছে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়েও যথেষ্ট যৌক্তিক মুনাফা ধরেই দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
তবে হিমাগার সমিতি থেকে বলা হয়েছে, চালকলগুলোতে রাখা চালের মালিক সংশ্লিষ্ট কলমালিকেরা। কিন্তু হিমাগারের রাখা আলুর মালিক অন্যরা, তাঁরা শুধু ভাড়া পান। ফলে হিমাগার মালিকেরা আলু বিক্রির ক্ষমতাই রাখেন না।